স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা প্রকাশের সময় কোনটি?

বিটিবি নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট : জীবনে সবাই কারো না কারো প্রেমে পড়েন। কেউ কম বয়সে আবার কেউবা বেশি বয়সে প্রেমে পড়ে থাকেন। প্রেম কোন বয়স মানে না। কাউকে প্রাণ খুলে ভালোবেসেও তাকে বোঝাতেই পারেন না সে ব্যক্তি মনের কথাগুলো। কেহ যদি কাউকে পছন্দ করে তাহলে তার মনোযোগ কেড়ে নেওয়াটা অত্যান্ত জরুরি হয়ে ওঠে।
প্রেম নিবেদনকে তৃপ্তিদায়ক ও সর্বাধিক উপভোগ্য করতে চাইলে তার আবেগের মহুর্তকে প্রদর্শন ও সর্বোচ্চ সুযোগের সদ্ব্যবহারকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। কোন ব্যক্তি যদি ঘুম এবং যৌনতার সঠিক সময় বের করতে পারলে উভয় ক্ষেত্রেই সর্বাধিক তৃপ্তি মিলতে পারে।
বয়সের সঙ্গেও সার্কাডিয়ান রিদম বদলাতে থাকে। এসব বিষয়ের সঠিক সমন্বয় করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে জানা যাবে বয়সের সঙ্গে প্রেম নিবেদনের সঠিক সময়ের নানা কথা।
১. বিশের কোঠায় যাদের বয়স। দিনের যেকোনো সময় তাদের দেহ যৌন চাহিদা অনুভব করতে পারে। ডাক্তারা বলেন, এ বয়স্ক ব্যক্তিরা যেকোনো সময় সঙ্গী-সঙ্গিনীর সাথে অন্তরঙ্গ হতে পারেন।
এ বয়সের সঙ্গী-সঙ্গিনীরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘুম থেকে ওঠা এবং রাত ১টার দিকে ঘুমাতে পারলে সর্বোচ্চ উপকার পাবেন।
২. যাদের বয়স ত্রিশের কোঠায় তাদের প্রেম ও সেক্স করার স্বর্ণসময়। ত্রিশের কোঠায় থাকা ব্যক্তিদের দেহঘড়ি তাদের সকালে জাগিয়ে তোলে। এই জাতীয় ব্যক্তিদের রাত ৮টার দিকে রাতের খাবর খেয়ে নেয়া বেশ ভালো। মাঝরাতে তাদের বিছানায় যাওয়ার উপযুক্ত সময়।
৩. চল্লিশের কোঠায় যে সকল সঙ্গী-সঙ্গিনী রয়েছে তাদের জন্যে প্রেম নিবেদনের উত্তম সময় রাত ১০টা কুড়ি মিনিট। সারা দিন শেষে ওই সময়টাতেই তাদের দেহে সর্বোচ্চ পরিমাণ অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়।
মাঝরাতের পূর্বেই তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেতে পারে। চল্লিশের কোঠার বয়সীদের ঘুম থেকে ওঠার আদর্শ সময় সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে।
৪. যে সকল সঙ্গী-সঙ্গিনীর বয়স পঞ্চাশের কোঠায় তাদের ক্ষেত্রে বিকেলেই সেক্স সবচেয়ে উপভোগ্য হতে পারে। এ বয়সীদের রাত সাড়ে ১০টার মধ্যেই ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত।
৫. ষাট বছরে যে সকল সঙ্গী-সঙ্গিনীরা পা রেখেছেন তাদের জন্যে রাত ৮টা উত্তেজনাকর মুহূর্ত হতে পারে। এ বয়সে রাত এ সময়ের মিলনে ঘুমকে গভীর করে। সে ক্ষেত্রে এ বয়সীদের ৭টার মধ্যে রাতের খাবারের কাজ সেরে ফেলা উত্তম।
৬. যে সকল সঙ্গী-সঙ্গিনীর বয়স সত্তরের কোঠায় সেই বয়সী মানুষের সেক্স তৃপ্তিদায়ক ঘুম ও বিশ্রামের সুযোগ করে দিতে পারে। এ বয়সীদের জন্য সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাস্তা করা উত্তম। আর দুপুর শুরু হওয়ার সাথে সাথে দুপুরের খাবার খাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো ও উপকারী।